পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

হারানো প্রম‌ ‌ভালোবাসা ‌ফিরে ‌পাবার .‌তদবির

হারানো প্রেম ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার তদবীর
আমরা মানুষ্য জাত প্রায়শই একটি ভুল করি, আর তা হলো যখন যা আমাদের নাগালে থাকে তখন তার গুরুত্ব আমরা দেই না, বা তার মর্ম বুঝি না। যখন সেটা হারিয়ে যায় তখন সেটার গুরুত্ব বুঝতে পারি। যে কোন রিলেশনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে থাকে, আমরা যখন একজনের সাথে রিলেশনে থাকি তখন তাকে অবহেলা করি, তার সন্মান করি না, বা তাকে তার প্রাপ্য মর্জাদা দিতে চাই না। আমাদের মানুষিক চেতনা বলে যাই করি না কেনো সে তো আর ছেড়ে যাবে না। কিন্তু যখন ছেড়ে চলে যায় তখন আমরা কপাল চাপড়ে মরি। আমরা অনেকেই আমাদের ভালোবাসার মানুষটির সাথে দির্ঘ্যদিন সর্ম্পক্য রাখলেও তাকে মনে প্রানে ভালোবাসলেও কেউ কেউ ভালোবাসি কথাটা মুখে বলি না, ভাবনা টা এমন যে সে তো জানেই আমি তাকে ভালোবাসি। কিন্তু মশায় ভালোবাসার মানুষটির কাছে আপনার আবেগের প্রকাশটা অবশ্যই জরুরী। কারন হতে পারে সে তার ভাবনায় ভিন্ন কিছুর ছবি আকঁছে।
আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে যে সকল প্রেমিক পূরুষগন দির্ঘ্যদিন বা একটি নির্দিষ্ট সময় একজনের সাথে সর্ম্পকে থাকার পর তাকে হারিয়ে ফেলেছে। বা প্রেমীকা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। বা তার সাথে ব্রেকআপ করেছে। বা অন্য কারো হাত ধরে চলে গেছে। বা তার সাথে প্রতারনা করেছে। তাদের জন্য। 
আমরা বলতে চাই মেয়ে মানুষকে আপনি যতটা সহজ সরল অবলা মনে করেন সে কিন্তু সেটা নয়, মনে রাখবেন তার জন্যই এই পৃথিবীর সৃষ্টি তার দ্বারাই সৌন্দর্যের সৃষ্টি তার কারনেই আপনার সুখ, তার কারনেই আপনার জন্ম। আর আজ যদি আপনি হারানোর যন্ত্রনা অনুভব করছেন সেটিও তার’ই কারনে। যাই হোক মেয়েরা মোটেও ছেলে খেলার বস্তু নয়। সেও স্রষ্টার সৃষ্টি মানুষ আপনার মাঝে যে সকল ভাবাবেগ কাজ করে ঠিক তেমনটি তার মাঝেও কাজ করে। সকল সময় মেয়েদের সন্মান দিয়ে তাদের ভালোবেসে আগলে রাখাই আমাদের কর্তব্য। কথায় বলে মেয়েরা হয় ভালোবাসে নতুবা ঘৃনা করে এর মাঝা মাঝি কোন বিষয় তাদের মাঝে নেই। আর সে কারনেই সে যদি আপনাকে ভালোবেসে থাকে তবে তার চাইতে বড় পাওয়া আর কিছুই জগতে আপনার কাছে থাকবে না। আর যদি একবার ঘৃনা করে তবে তার চাইতে বড় শত্রুও আপনি জগতে খুজে পাবেনা না। এই পৃথিবীর ইতিহাস বলে জগতে যতগুলো বড় বড় মানুষ্য সৃষ্ট প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসযোগ্য সংগঠিত হয়েছে তার পিছনে অবশ্যই একটি মেয়ের গল্প রয়েছে। নারী জাতি বড়ই মায়াময় ও বিভৎস।
আপনি যদি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে থাকেন আর তাকে পুনরায় ফিরে পেতে চান তবে কয়েকটি বিষয় আপনার নিজের মনকে জিজ্ঞেস করে সঠিক টা জেনে নিতে হবে। আর তা হচ্ছে আপনি যে নারীকে ফিরে পেতে চান তাকে কি সত্যি আপনি মন প্রান দিয়ে ভালোবাসেন না কি সেখানে আপনার কোন স্বার্থ জরিত???
তন্ত্র, মন্ত্র, যন্ত্র, দোওয়া, তাবিজ, কবচ, পানি পড়া, ব্লাক ম্যাজিক, হোয়াইট ম্যাজিক, হিপনো টাইজ, মেসমেরিজম, জাদু, টোনা, বান ইত্যাদি যাই করেন না কেনো। তদবীরের পূর্বেই তদবীর কারকের নিকট জেনে নিন তিনি কি করতে যাচ্ছেন।
যে কোন বশিকরণ তদবীরের পূর্বে তদবীর কারককে এই বিষয়টি অবশ্যই অবহিত করবেন। কারন ভালোবাসার মানুষটিকে আকর্ষন করার জন্য তদবীর আর একটি নারীকে স্বার্থের জন্য আকর্ষন করার তদবীর কখনই এক নয়। আর এই ভুলটির জন্যই অনেক ক্ষেত্রেই অনেকে তান্ত্রিকের দারস্ত হয়েও হতাষ হয়ে ফিরে এসেছে। মনে রাখবেন বর্তমান সমাজে ও ভার্চুয়াল জগতে তান্ত্রিকদের এতটাই ছড়াছড়ি যে আপনি নিজেই দিশে হারা হয়ে যাবেন এই সিদ্ধান্ত নিতে যে কে রিয়েল আর কে ফেইক। আমরা বাংলাদেশের তান্ত্রিক জরিপে যা পেয়েছি তাতে শতকরা ৯৯% ফেইক। উপরন্ত এই ফেইক তান্ত্রিকদের মাঝে অধিকাংশই কম বয়ষ্ক ও অশিক্ষিত। ভার্চুায়াল জগতে যে সকল হাইব্রিট তান্ত্রিক পেইজ প্রতিনিয়ত তৈরী হচ্ছে এবং ঝরে যাচ্ছে এর মাঝে ৯৯% এমন রয়েছে যারা কি না কম্পিউটার অপারেটর মাত্র। আর এই অপারেটরা এই বিষয় ভালোভাবেই জ্ঞান রাখে কি ভাবে একজন সাধারন মানুষকে কনভেন্স করতে হয়। পাবলিক কোন ধরনের তান্ত্রিকতায় বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। কেমন অফার তারা চায়। কি ধরনের কথায় তাদের কনভেন্স করা সম্ভব। ইত্যাদি।
সাধারন ভিজিটরদের এই সকল ফেইক তান্ত্রিক চেনার জন্য আমরা ইতিপূর্বের বেশ কয়েকটি পেইজে কিছু অনলাইন এ্যনালাইসিস থিউরি প্রদান করেছিলাম আপনারা চাইলে পূর্বের পোষ্টগুলো দেখে আসতে পারেন। তবে সাধারন ভাবে কয়েকটি কথা মাথায় রাখবেন- প্রথমত যে সকল স্যোসাল মিডিয়ায় প্রচারিত চাকচিক্য তান্ত্রিক বিজ্ঞাপন দেখবেন তা এড়িয়ে চলুন। কারন চকচক করলেই শোনা হয় না। বর্তমান সময় ফেইসবুক পেইজের লাইক টাকা দিয়ে কেনা যায়। আর বেশি লাইককৃত পেইজ মানেই সেটা সঠিক সেটা ভাবা বড় রকমের ভুল। দ্বিতীয়ত যে সকল তান্ত্রিক পেইজের সাথে ওয়েব এ্যড্রেস নেই সেটি ১০০ ভাগ নিশ্চিত ফেইক। ওয়েব এ্যড্রেসে প্রদানকৃত মোবাইল নাম্বার ও স্যোসাল মিডিয়ায় প্রচারকৃত মোবাইল নাম্বার এক না হলে এড়িয়ে যান। যে সকল ওয়েব সাইট দু এক বছরের মধ্যে তৈরীকৃত সেগুলো নিশ্চিত ফেইক ওয়েব সাইট। যেখানে দেখবেন ৩ ঘন্টায় বা ২৪ ঘন্টায় কাজের ফলাফল সেটা তো অনেক বড় ভাবনার বিষয়। কারন দেখুন নারী হোক বা পূরুষ সে একজন মানুষ আর একজন মানুষের মন কখনই কোন পানি পড়া বা তাবিজ করে এতো তারা তারি পরিবর্তন করা যায় না, যেটা আমরা বিভিন্ন নাটক বা গল্পে পড়ে থাকি। মানুষের মন পরিবর্তন হতে অবশ্যই সময় লাগবে। অনলাইনে কোন কাজ দেওয়ার পূর্বে ভেবে রাখুন, আপনি যাকে বশ করতে আগ্রহী তার সঠিক জন্ম তারিখ, নাম, বাবা মায়ের নাম, ছবি ইত্যাদি আপনার কাছে আছে কি না। যে তান্ত্রিকের নিকট হতে সার্ভিস নিচ্ছেন সে কোন ধর্মের তান্ত্রিক আপনি কোন ধর্মের সেবা গ্রহন কারি সেটিও বড় বিষয়। কোন তান্ত্রিক যদি তাবিজ, কবচ, পানি পড়া, চিনি পড়া ইত্যাদি আপনাকে দেয় তবেও ধরে নিন আপনার কাজ হবে না। কারন এই সকল উপকরনে বর্তমান সময়ে কাউকে বশ করা হয়েছে এমন বাস্তব নজির বিরল। হ্যা আপনি হয়তো লোক মুখেই শুনে থাকবেন অমুকের হয়েছে অমুকের হয়েছে। কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল কাউকে খুজে পাবেনা না। তান্ত্রিক কাজ নেওয়ার পূর্বে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনার জানা দরকার সেটি হচ্ছে । যার জন্যেই তদবীর করুন না কেনো একমাত্র তান্ত্রিক এবং আপনি ছাড়া অন্য কেউ যেনো এ বিষয় কিছু জানতে না পারে। নতুবা কাজের ফল আপনার জন্য নয়।..........

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন