"টেলিপ্যাথি বা অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা"
অনেক সময় আমাদের মনটা হঠাৎ করেই খুশি
হয়ে যায় আর পর মুহূতেই দেখতে পাই আমাদের
প্রিয় কোন মানুষ এসে হাজির বা কোন ভাল
সংবাদ পাই। আর এই না দেখে কিছু বলে দেয়া
বা কোন ঘটনা আগে থেকে অনুমান করা কে
বলা হয় টেলিপ্যাথি। আমরা সবাই এই
টেলিপ্যাথি শব্দটার সাথে পরিচিত।
টেলিপ্যাথি শব্দটা এসেছে গ্রীক শব্দ টেলি
এবং প্যাথিয়া থেকে । টেলি শব্দের অর্থ
দূরবর্তী এবং প্যাথিয়া শব্দের অর্থ অনুভূতি ।
টেলিপ্যাথি, অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি বলতে মনের
বিশেষ ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে তথ্য সংগ্রহকে
বুঝানো হয়। এখানে শারীরিক কার্য্যকলাপের
তেমন কোনো ভুমিকা নেই। অতীন্দ্রিয়
উপলব্ধির আরেক নাম ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বা sixth
sense । ১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ
ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটির
অধ্যাপক জে. বি. ও তাঁর স্ত্রী লুসিয়া রাইন এই
টেলিপ্যাথি বা অতীন্দ্রিয় অনুভুতি নিয়ে
কাজ শুরু করেন। লুসিয়া রাইন স্বতঃস্ফূর্ত
বিষয়গুলো নিয়ে এবং জে. বি. রাইন
পরীক্ষাগারে কাজ করতে থাকেন। তিনি কিছু
জেনার কার্ড নিয়ে বাস্তব নিরীক্ষা চালান।
বর্তমানে কার্ডগুলি ইএসপি কার্ড নামে
পরিচিত। এসব কার্ডে সার্কেল, স্কয়ার, ক্রস,
স্টার এসব চিহ্ন রয়েছে। পাঁচধরণের ২৫ টি
কার্ড একটি প্যাকেটে থাকে। আর এসব কার্ড
এর ভিজুয়্যাল করার ক্ষমতার মাধ্যমে একজন
মানুষের টেলিপ্যাথি ক্ষমতা নির্ধারন করা
হয়।
ইতিহাস বলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও আগে
অন্যদের মনোজগতে ভ্রমন করতে পারে এমন
লোকদের নিয়ে কিছু পরীক্ষা চালিয়েছিল
দ্যা গ্রেট সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা
এবং ব্রিটেন আর তার ফলাফলও ছিল মজার।
সে সময় টেলিপ্যাথি মিলেটারি
ইন্টিলিজেন্সে একটি বিশেষ আসন করে
নিয়েছিল এবং এর ধারকদের বলা হত 'সাই
এজেন্ট। এখন অবশ্য টেলিপ্যাথিকে
বিজ্ঞানীরা রিমোট সেন্সিং বলে থাকেন।
এজেন্টরা তাদের মনটাকে ব্যবহার করে
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এবং বস্তু সম্পর্কে
তথ্য দিতেন।
আর এই টেলিপ্যাথি ক্ষমতা গবেষনার করছে
অনেক দেশ। আর এই গবেষনা যদি সফল হয়
তাহলে আমরা অদূর ভবিষ্যতে হয়ত এমন সুপার
কম্পিউটার পেয়ে যেতে পারি যেটা ভবিষ্যত
বলে দিতে পারবে আর মানব জাতি অনেক
দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে।
অনেক সময় টেলিপ্যাথির মাধ্যমে অন্যের
মনকেও কন্ট্রোল করা যায়। আমাদের সবার
মাঝেই কিছু না কিছু টেলিপ্যাথি ক্ষমতা
আছে। আর মেডিটেশন এর মাধ্যমে
টেলিপ্যাথি ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন