পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১

ইসমে‌ আজম ও তার ফজিলত সম্পর্কে জানুন


 ইসমে আজম ও এর ফজিলত: যে দোয়া পাঠ করলে আল্লাহর দান ও সাড়া পাওয়া যায়, এবং দোয়া কবুল হয়। ইসমে আজম হলো আল্লাহর গুণবাচক নাম গুলো দিয়ে দোয়া, যে দোয়া পাঠ করলে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তা অবশ্যয় আল্লাহ কবুল করেন। ফজিলতঃ এক ব্যাক্তিকে ইসমে আজম পাঠ করতে দেখে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘সে আল্লাহকে তাঁর ইসমে আজম বা সর্বাধিক বড় ও সম্মানিত নামের সঙ্গে ডাকল।

যা (ইসমে আজম) দ্বারা যখন কেউ তাঁর নিকট কিছু প্রার্থনা করে, তিনি তাকে তা দান করেন এবং যা দ্বারা যখন কেউ তাঁকে ডাকে, তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দেন।

(তিরমিজিঃ৩৫৪৪, আবু দাঊদঃ১৪৯৩, নাসাঈঃ১৩০০) অনেকের প্রশ্ন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম দেখা যায় ইসমে আজম তাহলে কোনটা পড়বো? কোনটি সঠিক? এই প্রশ্নের উত্তর হলো ৩ টি সহীহ হাদীসে ৩ ভাবে ইসমে আজমের দোয়াটি উল্লখিত রয়েছে। তাই একেক জায়গায় একেক রকম দেখা যায়। ৩ টি হাদীসই সহীহ, আপনাদের সুবিধার্থে ৩ টিই উল্লেখ করলাম। তবে প্রথমটি বেশি প্রচলিত।

ইসমে আযমঃ ১: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ আল্লাহুম্মা ইন্না আস আলুকা বিআন্না লাকালহামদা লা ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নানু বাদিয়ূস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ইয়াযাল জালালি ওয়াল ইকরমি ইয়া হায়্যু ইয়া ক্বয়্যুম।

(নাসাঈঃ১৩০০)২ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ আল্লাহুম্মা ইন্না আসআলুকা আন্না আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতা আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।

(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪৯৩) ৩ اللَّهُمَّ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ ‏.‏ আল্লাহুম্মা লা ইলাহা ইল্লা আংতা মান্নানু বাদিয়্যুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি যাল জালালি ওয়াল ইকরম। (তিরমিযিঃহাদিস নং ৩৫৪৪) {আরবি উচ্চারণ প্রাধান্য দিন} এখন প্রশ্ন আসতে পারে কখন পড়বেন এই দোয়া? এই প্রশ্নের উত্তর একটি হাদীস দ্বারা স্পষ্ট হয়… আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লা সাঃ এর সঙ্গে বসা ছিলাম, অর্থাৎ তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল, যখন সে রুকূ-সিজদা এবং তাশাহহুদ পড়ে দোয়া করতে আরম্ভ করল তখন সে তাঁর দোয়া বললঃ (ইসমে আজম) তখন নবী সাঃ তাঁর সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা কি জানো সে কিসের দ্বারা দোয়া করল? তাঁরা বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! সে আল্লাহর ঐ ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করেছে যা দ্বারা দোয়া করা হলে তিনি তা কবুল করেন, আর যদ্বারা কোন কিছু চাওয়া হলে তা তিনি দান করেন। (নাসাঈঃ হাদিস নং ১৩০০) এ থেকে বোঝা যায়, সালাত শেষে মোনাজাত বা দোয়া করার আগে আপনি ইসমে আজম পড়বেন, বা যেকোনো কিছু চাওয়ার বা দোয়া করার আগে এই দোয়া পড়লে আপনার দোয়া কবুল হবে।

যাদের দোয়া কবুল হয়না, ইসমে আজম পাঠ করে আল্লাহর কাছে আকুতি মিনতি করে দীর্ঘ সময় নিয়ে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকুন, আল্লাহ কবুল করবেন ইনশাল্লাহ। আল্লাহ সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুক, তাওফিক দাতা আল্লাহ।

তান্ত্রিক গুরু আজিজ রহমান জ্বীন সাধক । তান্ত্রিক জগতে ১০০% গ্যারান্টিতে তদবির করা হয়। তন্ত্র মন্ত্র কালো যাদু ও জ্বীন চালানের মাধ্যমে তদবির করা হয় যে কোন কঠিন কাজ ৩/৫ দিনে সমাধান ইনশাআল্লাহ। আপনারা যে কোন দেশ বা জেলা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে তদবির করতে পারেন । ঠিকানা খুলনা খালিস পুর বাজার ২৫/৩.. ফোন ..imo- 01757786808..

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন