..পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এখন একটি
বিষয় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আর তা
হলো মেডিটেশন বা ধ্যান, আমাদের
বাংলাদেশেও এমন বেশকিছু
প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে মেডিটেশন
বা ধ্যান, যোগ ব্যায়াম শেখানো হয়ে
থাকে। বর্তমানে মিডিয়ার যুগে আমরা
যদি একটু খানি চোখ কান খোলা রাখি
তবে প্রায়শই চোখে পরবে বিশেষ করে
ডিস্কোভারী বা ন্যাশনাল
জিওগ্রাফীতেও কিছু কিছু দেশের
ধ্যান সাধনা বা সে দেশে যে নামেই
বলা হোক না কেন-তা এতোটাই উন্নতি
সাধন করেছে যে মানুষের পক্ষে অসম্ভব
বলে হয়তো পৃথিবীতে কিছু আর থাকবে
না। আমাদের দেশের বেশকিছু
মেডিটেশন গুরুজনেরা যে সকল ধ্যান
যোগ প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকেন তা
আমাদের জন্য যথেষ্ট। একজন মানুষের
তার নিজের চলমান জীবন মান উন্নয়ন
করতে যা যা প্রয়োজন, তা খুব ভালো
ভাবেই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে
থাকে। কিন্তু একটি বিষয়- আর তা হলো
আমরা যতটুকু যানি বা যানছি তা কি
যথেষ্ট বা এর বাইরে কি কিছু নেই,
আসলেই কিছু নেই, এই বাংলাদেশের
মানুষের প্রবৃত্তি যে পর্যায়ের তাতে
এর বাইরে আর কিছু থাকতেও নেই। আমি
কোন লেখক নই বা সুন্দর করে লেখায়
অবস্থ্য নই তারপরেও যা মনে আসছে
লিখে যাচ্ছি, আসলে কোয়ন্টাম বা
ত্রাটক বা ধ্যান যাহাই বলেন না কেন
এটার গভিরতা এতোটাই যা আমরা
কল্পনাও করতে পারি না, প্রাচিন
গ্রন্ধগুলোতে কিছু কিছু উদ্ধৃতি পাওয়া
যায় যেমন হিন্দু শাস্ত্রে আছে যখন
কোন কারনে দেবাদি দেব মহাদেব
মহেশ্বর কোন সমস্যার সম্মুক্ষিন হতেন
তখন তিনি তপস্যায় বসতেন অর্থাৎ
ধ্যানে বসতেন। এখানে তিনি যদি
ভগবান হয়ে থাকেন তবে তিনি কার
তপস্যা বা ধ্যান করেন ? আমাদের
সকলের প্রিয় রাসুল হযরতে নূর আহম্মদে
মুস্তফা মুহাম্মদে মুস্তফা (সাঃ) তেনার
জীবনি থেকেও একি কথা শোনা যায়
তিনি হেরা গুহার পর্বতে গিয়ে ধ্যান
করছিলেন, তো তিনি যদি ধ্যান করে
সত্যের সন্ধান পান তবে কেন তার
উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য ধ্যান করা
সুন্নত বা ফরজ করে গেলেন না সেটা
আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক্যে বোধগম্য নয়।
আবার প্রাচীন অহিংস ধর্ম বুদ্ধ ধর্মের
মুলেই রয়েছে ধ্যান যোগ, স্বয়ং বুদ্ধ
দির্ঘ্যকাল ধ্যান সাধনার দ্বারা অমৃত
সত্যের সন্ধান লাভ করেন এভাবে আমরা
পৃথিবীর যত মহামানবের ইতিহাস পাব
সেখানে কোন না কোন ভাবে এই ধ্যান
আছেই এবং তা সবকিছুর মুলেই গেথে
রয়েছে। আসলে আমরা আজ
বাংলাদেশিরা মেডিটেশন বলে যা
শিখছি সেটা ধ্যান নয় এটাকে একটি
ধ্যনের একটি কনা বলা যেতে পারে,
তবে হ্যা এই ধ্যানের মাধ্যমে
বাস্তবিকই একজন অতি সাধারন মানুষ
হয়ে উঠতে পারে অতিমানব বা
মহামানব।। আমাদের এই সাইডটি মুলত এই
ধ্যান প্রশিক্ষণ বিষয়ের উপর এবং
আমরা এটার নাম রেখেছি ত্রাটক
মহাবিদ্দ্যা বা ত্রাটক সাধনা সুতারাং
আমরা এটাকে মেডিটেশন বা ধ্যান
বলবো না ত্রাটক বলবো।
এই ত্রাটকের রয়েছে দু-মুখি
তলোয়ারের মতই কর্ম ক্ষমতা আর তাই
যদি ত্রাটক শিক্ষণ এমন কোন ব্যক্তির
হাতে গিয়ে পড়ে তবে হয় সে নিজে
ধ্বংস হবে নতুবা সে সমাজ কে ধ্বংস
করে ছেড়ে দিবে আর মূলত সেই কারনে
বাংলাদেশের মেডিটেশনের শ্রদ্ধেয়
গুরুজনেরা তাদের শিক্ষণে এমন একটি
বাউন্ডারী প্রদান করে তালিম দিয়ে
থাকেন যাতে করে সে শিষ্য কোনদিনও
সেই বাউন্ডারী ভেদ করে বের হতে না
পারে, এতে করে সবচাইতে বড় সুবিধা
হলো সে যত খারাপ বা ভালো
প্রকৃতির’ই হোক না কেন তাকে যেটা
তালিম দেওয়া হয়েছে সে তার বাইরে
শত চেষ্টাতেও যেতে পারবেনা। ফলে
সে শুধু নিজের জন্য যতটুকু করার
প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েছে ততটুকুই করতে
পারবে। ভালো না এটা কি ? অবশ্যই
ভালো !!!
কিন্তু আমরা বিশ্বের সাথে তাল
মিলিয়ে এগোতে কি কখনও পারবো,
আমরা কি তাহলে মসজিদ মন্দিরে
সেন্ডেল চুরির ভয়ে সেখানে যাওয়া
বন্ধ করবো নাকি স্যন্ডেল পায়ে
দেওয়া’ই ছেড়ে দিবো। বলুন ?
ত্রাটক এমন এক ধ্যান সাধনা যা দ্বারা
ব্যক্তি তার আত্ত্বশক্তিকে বিকাশিত
করতে পারে, People may bring out his
inner power to awaken her true ability.
একজন মানুষ ত্রাটক শক্তি বিকাসিত
করার ফলে তার জীবন যাত্রার মান
যেমন পাল্টাতে পারে তেমনি তার
অতিমানবীয় গুনাবলিও অর্জন করতে
পারে, প্রতিটি মানুষের মাঝে আছে
অবিনশ্বর অসীম ক্ষমতাধর আরও একটি
মানুষ, যে নিজের সার্বিক সুরক্ষা সে
নিজেই করতে পারে, নিজের বিচার,
নিজের অর্জন নিজেই করতে পারে। যে
স্রষ্টা বা প্রকৃতি এই অসামান্য জীব
সৃষ্টি করেছে তাকে কল্পনা করার মত
অচিন্তনীয় মেধা দিয়েছে সেই প্রকৃতি
আরও কতই না ক্ষমতা তার ভিতর
সাজিয়ে রেখেছে তা আমরা ততদিন না
বুঝতে পারবো যতদিন এই পথে চলবো।
আমরা আজ মোবাইল, রিমোট কন্ট্রোল,
উড়জাহাজ, জল জাহাজ, বিদ্যুৎ,
কতকিছুই না আবিষ্কার করেছি আর
সেগুলো দেখে অবিভুত হয়ে যাচ্ছি
কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছি কি যে
শক্তি আমাদের সৃষ্টি করেছে সেই
মহামহিম স্রষ্টাআমাদের মাঝে কোন
শক্তি প্রের্থিত করে পাঠিয়েছে,
আমরা কি পারি না মোবাইল ছাড়া
কারও সাথে কমিউনিকেশন করতে,
রিমোট ছাড়া কোন ইলেক্ট্রিক যন্ত্র
বা বস্তুর মুভমেন্ট করাতে, জাহাজ
ছাড়া পানি বা বাতাসে ভাষতে,
আগুনের মাঝে অবলিলায় ঢুকে যেতে,
অন্ধকারের মাঝে কোন কিছু
দেখতে ???
আসলেই কি সম্ভব নয় ? আসলেই কি
আমরা পারিন না আমাদের সম্মুখ্যে
আসা কোন শত্রুর মোকাবেলা করতে
কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই
করতে ? কেউ কিকখনও তা পারে নি ?
নাকি আমরাই শুধু পারি না ? ? ?
ত্রাটক সাধনার শুরুতেই আমরা এমন কিছু
করে দেখাব যা আপনি কখনও কল্পনাও
করেন নি, কখনও ভাবেন ও নি। আমরা
প্রত্যেকের মাঝেই লুকায়িত শক্তিকে
আমরা শুধু সাধনার মাধ্যমে খুজে
আনবো। আপনারা অনেকেই লক্ষ করে
থাকবেন আমাদের অবচেতন মন অনেক
সময়’ই অনেক কিছু ব্যক্ত করে ফেলে যা
আমরা কাকতালীয় ঘটনা ভেবে উড়িয়ে
দেই কিন্তু আসলে কি তা কাকতালীয় ?
যেমন অনেক সময় বাইরে থাকা কালিন
মনে হয় আজ অফিসে বা বাসায় অমুক
ব্যক্তি এসেছে বা অমুক কাজটি হয়ে
গেছে-ঘটনার স্পটে গিয়ে দেখা গেল
ঠিকই তাই। কিছু কিছু স্বপ্ন হুবহু
প্রতিফলিত হয়ে যায়। বিজ্ঞান বলে
প্রতিটি মানুষের দুর্ঘটনার কয়েক
সেকেন্ড আগে সে বুঝতে পারে এবং
কিছুটা সময়ও সে পায় সেটা থেকে
বাচার, কিন্তু হতবিহ্বল ব্যক্তিরাই
দুর্ঘটনার স্বিকার হয়।
আমরা জানবো কি ভাবে ঘটনা ঘটার
আগেই তা জানতে হবে, কি ভাবে
অন্যের অগচরে কোন প্রকার
কমিউনিকেশন ছাড়াই কোন ব্যক্তির
সাথে যোগাযোগ করা যাবে, কি ভাবে
আমার ইচ্ছেমত আমি কারও মুভমেন্ট
কন্ট্রোল করতে পারবো, কি ভাবে আমি
কারও অজান্তেই তাকে বাধ্য করতে
পারবো, কি ভাবে আমার সামনে আগত
দুর্ঘটনার পূর্বেই আমি সর্তক্য হবো।
এমনি শতশত বিষয় আমরা প্রশিক্ষণ দিব
এবং আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব
মানুষের মাঝে বিরাজও মান আর একজন
মানুষের সাথে। জিনি আপনার হয়ে
আপনার সমস্ত কাজগুলো সুশৃঙ্খল ভাবে
সমাপন করবে, আপনার অগোছালো
জীবনকে গুছিয়ে এক অনাবিল আনন্দময়
জীবনে পরিনত করবে। আপনার
হতাষাময় জীবনে বয়ে আনেবে সুখের
হিমেল বাতাস। আপনি হবেন মানুষের
মাঝে এক অনন্য মানুষ।। হয়তো মানুষ না
হয়ে মহামানবে পরিনত হবেন।।>> তবে আপনি যদি এই এ্যাটক সাধনা করতে চান যোগা যোগ করুন
.