Short Charm (টোটকা)
টোটকা
হাপানী রোগের ঔষধঃ
Ø রোগীর যত বয়স তত ফোটা ( ২৫ ফোটার বেশি নয়) তারপিন তৈল মধুর সহিত মিলাইয়া সকালে ও সন্ধ্যায় খাইলে হাপানী উপশম হয়।
Ø শনি বা মঙ্গল যুক্ত আমাবস্যার দিন কচ্ছপের মাথার হাড় ও তৎসহ ১টি শিমুলের বীচি সোনার মাধুলীতে ভরিয়া গলায় ধারন করিলে হাপানী রোগ ভালো হয়।
Ø তামার মাধুলীতে কচ্ছপের মাথার হাড় ও তটি শিমুলের বীচি ভরিয়া মাথায় ধারন করিলে হাপানী ভালো হয়।
Ø আকন্দের পাতা, কাঁচা হলুদ, কুকুর দ্বার মূল, পিপুল, গোল মরিচ এই সমস্ত কিছু সমপরিমাণে পিষিয়া ২ মাষা পরিমাণ গুলি তৈয়ার করিয়া প্রতিদিন তিন বার করে নিয়মিত খাইলে মৃগি রোগ ভালে হয়।
Ø গাওয়া ঘি, মধু, গোলমরিচ, মৌরী, আদার রস, পানের রস সব মিলাইয়া খাইল হাপানী ভাল হয়।
(গাভীর দুধ, ভাত, মুগের ডাল, ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ।)
স্বপ্নদোষ বন্ধ করার টোটকাঃ
Ø শনিবার অথবা মঙ্গলবার দিন চিতা ঘাট হইতে কাল ধুতুরার গাছের পূর্ব দিকের শিকড় পূর্বদিকে মুখ করিয়া শ্বাস বন্ধ করিয়া তুলিবে এবং তা তাবিজের মধ্যে উক্ত শিকড় ভরিয়া মোম দ্বারা মুখ বন্ধ করতঃ কোমরে ধারণ করিলে স্বপ্নদোষ হয় না।
Ø পূষ্যনক্ষত্রযুক্ত শনিবার দিন লাজবন্তি গাছের শিকড় পূর্ব দেকে মুখ করিয়া শ্বাস বন্ধ করে তুলিয়া তাবিজে ভরিয়া কোমরে ধারন করিলেও স্বপ্নদোষ বন্ধ হয়।
Ø রাত্রে শুইবার পূর্বে পূরুষাঙ্গে বেশী করিয়া ঠান্ডা পানি ঢালিয়া শুইলে স্বপ্নদোষ হয় না।
Ø পূরুষাঙ্গের গোড়ায় শিষা বাধিয়া শুইলে স্বপ্নদোষ হয় না।
ছোট শিশু বিছনায় প্রসাব বন্ধ করাঃ
Ø অনেক সময় দেখা যায় যে, কিছু কিছু বাচ্চা ৩/৪ বছর বয়স হয়েও বিছানায় প্রসাব করে। এতে করে গার্জিয়ানদের ভিষন বিরম্বনায় পড়তে হয়। এটা বন্ধ করার জন্য শনিবার অথবা মঙ্গল বার দিন রাই সরিষার শিকড় ও বাশ তলার মাটি আনিয়া একত্রে পিষিয়া শিশুকে ঘরের ছোনচার নিচে ( যেখানে ঘরের চালের বৃষ্টি পড়ে) দাড় করাইয়া গোসল করাইতে হবে। এবং সেই গোসলের পর ভিজা কাপড়েই তাকে সেই ঔষধ টুকু খাওয়ায়ে দিবে এতে করে আর সে কখনও বিছানায় প্রসাব করিবে না।।
নিদ্রা অধিক হইলে তার প্রতিকারঃ
Ø সিরকা এক শিশিতে ভরিয়া তাহাকে দিনে বিশ বা পঁচিশ বার নাকে শুকিতে হইবে। ইহাতে সেই ব্যক্তির ঘুম আর আসিবে না।।
Ø রবিবার দিন যদি তাজা সবুজ লঙ্কা ও কাচা হলুদ, লেবু, লাল রঙ্গের ধাগায় গেঁথে নজর দোষযুক্ত স্থানে টাঙ্গিয়ে দেওয়া যায় তবে সেখানে লাগা কুনজর সমাপ্ত হয়ে যায় এবং পূনরায় সুখ ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে।।
Ø কোনও রবিবার দিন সাদা আখের শিকড় এনে তাতে ছিদ্র করে কালো রং-এর কাঁচা সুতোর ধাগা তৈরী করে নিতে হবে। এবার সেটি বাচ্চার গলায় পরিয়ে দিতে হবে। এর ফলে বাচ্চাটির কোনও কুনজর লাগবে না এবং যদি ইতিমধ্যে লেগে থাকে তবে তা কেটে যাবে।।
Ø Ø হঠাৎ ধন প্রাপ্তির জন্য শনিবার তান্ত্রিক বিধান মেনে কোন বহেড়া গাছকে “মম কার্য্য সিদ্ধিং কুরু কুরু স্বাহা।।” এই মন্ত্রে নিমন্ত্রন জানিয়ে আসতে হবে। এবং পরদিন সকালে অর্থাৎ রবিবার ভোরে ঐ গাছের নিকট গিয়ে অনুমতি নিয়ে একটি আস্ত পাতা ( যা পোকায় খাওয়া ছেড়া ফাটা হবে না) নিয়ে আসবে। এবার ঐ পাতাটি নিজের পকেটে বা ব্যগে বা তাবিজে ভরে গলায় ধারন করতে হবে। তাহলে সর্বনিন্ম তিনদিনের মধ্যে আকষ্মিক ধন প্রাপ্তি হবে। তবে বলে রাখি আপনি সেই টাকায় কোটিপতি বা গাড়ী বাড়ী কিনতে পারবেন না। আপনার সে সময়ের প্রয়োজন পুরনের জন্য তা যথেষ্ট হবে।। (বহুল ভাবে পরিক্ষীত)
মুসলিম বশিকরণ টোটকাঃ
মুসলীম শাস্ত্রের বিশাল টোটকা সম্ভার থেকে কিছু প্রচলিত টোটকা আপনাদের জন্য দিলাম সম্ভব হলে এগুলোর ব্যবহার করে নিজে ও অন্যকে উপকৃত করতে পারেন, যে কোন টোটকা করার উপকরণ গুলো অবশ্যই তান্ত্রিক উপায়ে সংগ্রহ করতে হবে, নতুবা কোন গাছের শিকড় আনলেন সেটা শুধু কাঠ হিসেবেই আপনার কোন কাজে আসবে না।। টোটকা একটি সরলতম বিধি বিধান যা প্রকৃতির নিয়মকে সাময়িক অনিয়মে পরিনত করে, এটা ব্যবহার বেশ সহজ কিন্তু এর উপকরণ গুলো সময় ও বিধিমত সংগ্রহ না করলে কোন ফল লাভ হয় না। বর্তমানে টোটকার প্রচলন সবচাইতে বেশি দেখা যায়।। আপনার প্রয়োজনীয় গাছ বা লতাপাতা যদি আপনার আসে পাসে না পান তবে কাজ করার অন্তত্য ৩ সপ্তাহ আগেই সেই গাছটি নার্সারী থেকে বা যেখানে পাওয়া যায় সেখান থেকে জোগার করে আপনার আসে পাসে লাগাতে পারেন যেখানে আপনার কাজ করা সহজ হবে।। যদি কোন গাছের নাম আপনি বুঝতে না পারেন তবে তা বয় বৃদ্ধ কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন, চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতেও দ্বিধা করবেন না।।
Ø ইংদোরনি চিনাবরী এবং মৈনসিল (চিৎপুরে পাওয়া যায় সমান ভাগে নিয়ে হামান দিস্তায় কুটে নিজের অংগে লাগিয়ে ধুপ-দীপ জ্বালিয়ে সন্মান দেখালে, সাধককে যেই দেখবে সেই মোহিত হয়ে তার প্রতি আসক্ত হবে।।
Ø গোড়া লেবুর শিকড় ও ধুতরার বীজ পিঁয়াজের সাথে মিহি করে পিষে যাকে শুকাঁনো যাবে সেই সাধকের প্রতি আকৃষ্ট হবে।।
Ø মঙ্গল বার দিন যদি আমাবস্যা হয় তবে ঐ দিন দৈনিক ক্রিয়া শেষ করে পবিত্র হয়ে বনে গিয়ে উত্তর দিকে মুখ করে দাঁড়ীয়ে আপাং গাছের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এবার ঐ স্থানে কোন ব্রাম্মনকে ডাকিয়ে ঐ আপাং গাছটিকে বিধি মত পূজা করতে হবে। এবং ব্রাম্মনকে ১৫ মাসা (আনা) স্বর্ন দান করতে হবে। এবার ব্রাম্মনের দ্বারা আপাং গাছটির বীজ এনে তা নিজের ঘরে নিয়ে আসতে হবে। পথে আসার সময় কারও সাথে কথা বলা যাবে না। ঐ বীজ পরিস্কার করে যদি রাজা বা সে উপযুক্ত কোন ব্যক্তিকেও খাওয়ানো যায় তবে সে অবশ্যই জীবন ভর সাধকের বাধ্য হয়ে থাকবে।
Ø বেল পাতা মাতুলংগ ( এক প্রকার লেবু) নিয়ে ছাগলের দুধে পিষে তা দিয়ে তিলক কাটলে তা শ্রেষ্ট বশীকরণ হবে।।
Ø পূষ্য নক্ষত্রে আপাং গাছের বীজ এনে তা পানের সাথে দিয়ে যাকে খাওয়াবে সেই বশিকরণ হবে।
Ø ঘি ও গোয়ারের কন্ত, ভাং এর বীজ এক সাথে পিষে তার দ্বারা তিলক কাটলে, সাধককে যে দেখবে সেই বশিভুত হবে।।
Ø নীল কমল, গুগগুল এবং আগরু এই গুলি সম মাত্রায় নিয়ে পিষতে হবে এবং নিজ শরিলে মালিশ করবে। এর পর ধুপ-ধুনা জ্বালাবে, এতে সাধককে যেই দেখবে সেই আর্কষিত হবে।।
Ø পূষ্য নক্ষত্রে সিংঘীর শিকড় তুলে আনতে হবে, এবং সেটি কোমরে বেধে যদি কোন রাজ সভায়ও যোগ দান করা যায় তবে সেই রাজ সভার সকলেই তাকে সম্মান করবে।।
Ø ডুমুরের ফুলের (যখন ডুমর ফুটে বের হয়) দ্বারা পলিতা বানিয়ে মাখন ভরা প্রদীপে রাতে জ্বালীয়ে কাজল তৈরী করবে, সেই কাজল চোখে পরলে সাধককে যেই দেখবে সেই তাৎক্ষনিখ আর্কষিত হবে।।
Ø পূষ্য নক্ষত্রে অন্ধকার রাত্রে সুগন্ধি তৈলের প্রদিপে কাজল তৈরী করবে এবং তাতে হরতাল ও সোহাগা মিশিয়ে ময়ুরের পাখনা দিয়ে যার মাথায় দেওয়া হবে সেই বশিভুত হবে।।
Ø চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীর দিন চিতা গাছকে আমন্ত্রন জানিয়ে আসবে। এবার নবমীর দিন ঐ গাছ নিয়ে আসবে এবং ধুপ দীপ জ্বালীয়ে নিজের কাছে রাখবে, এতে সকলেই তাকে সম্মান করবে।।
Ø চন্দ্র গ্রহণের সময় সরপোখা গাছের শিকড়কে বিধিমত তুলে এনে জ্বলের সাথে শিল-পাটায় পিষে চোখে কাজলের মত লাগাতে হবে। সেই চোখের দিকে যেই তাকাবে সেই তার দিকে আকৃষ্ট হবে।।
Ø পূষ্য নক্ষত্রে পূনর্নবার শিকড় এনে ডান বাহুতে বাধলে যে কোন লোকেই বশিভুত হয়।।
Ø সুদর্শন গাছের শিকড়কে বাহুতে বেঁধে যে কোন উচ্চ পদস্থ্য লোকের কাছে গেলে সেই বশিভুত হয়।
Ø চন্দন, রোলী, গোরচন, কর্পূর, একসাথে মিশিয়ে কপালে লাগিয়ে সকলেই বশিভুত হয়।।
Ø মেটে সিংগী, বচ, ধুনো, খস্য চন্দন ও ছোট এলাচ সমান মাত্রায় কুটে হামান দিস্তায় পিষতে হবে। এবার ঐ সকল বস্তুর ধুনো তৈরী করে তা জ্বালাবে এবং তার ধুপ ব্যবহৃত কাপরে লাগাবে। সেই কাপর পরে যার সামনে যাবে তাকেই বশ করতে পারবে।।
Ø শ্রাবণা নক্ষত্রের দিনে নিয়ে আসা বেত গাছের টুকরো ডান হাতে ধারন করলে, যুদ্ধেও বীজয় প্রাপ্ত হওয়া যায়।।
Ø চন্দন ও বটের মূল জলের দ্বারা পিষে সমমাত্রায় ভষ্ম মিশিয়ে কপালে তিলক কাটলে, যেই দেখবে সেই বশিভুত হবে।।
Ø ডুমুরের মূল এনে তা পিষে তা দিয়ে কপালে তিলক কাটলেও বশিকরণ হয়।।
Ø পঞ্চমী তিথিতে হুর-হুরের শিকড় তুলে এনে তা পানের মধ্যে দিয়ে যাকে খাওয়াবে সেই সাধকের পিছনে ধাওয়া করবে।।
Ø পূষ্য নক্ষত্রে আপাং এর বীজ এনে কোন খাদ্য বস্তুর সাথে মিশিয়ে যাকে খাওয়াবে সেই বশিভুত হবে।।
Ø ভোজ পত্রে লাল চন্দন দিয়ে শত্রুর নাম লিখে তা মধুতে ডুবিয়ে রাখলে, শত্রুও বন্ধুতে পরিনত হয়।।
Ø বাদামের গাছের পঞ্চাঙ্গ ( ফল, মুল, পাতা, ফুল, ডাল) এবং সাদা ঘুংঘচী ফল এক সাথে পিষে কপালে তিলক কাটলে যে বা যারা সাধকের দিকে তাকাবে সেই মোহীত হবে।।
Ø পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রে কোনও বাগানে গিয়ে আনার (বেদানা) নিয়ে আসতে হবে, এবং সেই আনার কে ধুপ-দীপ দেখিয়ে নিজ ডান হাতে বেধে রাজ সভায় গেলেও সম্মানীত হবে।।
Ø ** মূথা ঘাসের শিকড় বিধি মত তুলে মুখের মধ্যে রেখে যার নাম উচ্চারন করবে, সেই বশিভূত হবে।।
Ø ভরনী নক্ষত্রে বা পূষ্য নক্ষত্রে চাঁপার কলি এতে হাতে বাঁধলে লোক বশ হয়।।
Ø মধু, খস ও চন্দন মিশিয়ে তা দিয়ে তিলক কেটে যে স্ত্রী বা পূরুষের কাধে হাত রাখেবে সেই বশিভুত হবে।।
Ø ভরনী নক্ষত্রে বা পূষ্য নক্ষত্রে সুদর্শন গাছের শিকড় এনে যদি বাহুতে বাধা যায় তবে সাধক সবাইকে বশ করার ক্ষমতা লাভ করে।।
Ø পূষ্য নক্ষত্রে নিয়ে আসা চামেলি বা চম্পা গাছের শিকড় তাবিজে ভরে ধারন করলে, শত্রুও মিত্রে পরিনত হয় যেখানে যাবে সেখানেই বিজয়ী হবে।।
Ø আপাং, ভৃংগরাজ, লাজবন্তী, সহদেবী সব একসাথে পিষে তিলক কাটলে সবাই সাধকের প্রতি মোহিত হবে।।
Ø সিন্দুর, সাদা বচ পানের রসে পিষে তিলক লাগালে সবাই মোহিত হবে।
Ø কাঁকড়া সিংঘী, চন্দন, বচ, কুট এই পাঁচ পদার্থ পিষে নিজের মুখে রেখে বস্ত্রকে ধূপ দেখালে সবাই মোহিত হবে।
Ø কলার রসে বরকী হরতাল এবং অশ্বগন্ধাকে গোরোচনে পিষে তিলক লাগালে সবাই মোহিত হবে।
Ø সহদেবীর সঙ্গে তুলসীর বীজ চূর্ন করে ঘুটে রবিবার দিন তিলক লাগালে সাধক সবাইকে মোহিত করতে পারবে।
Ø সর্ষে ও দেবদাল একত্র করে গুলি বানিয়ে নিজের মুখে রেখে বার্তালাপ করলে দ্বিতীয় ব্যক্তি বশীভূত হবে।
Ø পানে ডুমুরের শিকড় দিয়ে যাকে খাওয়াবে সে-ই বশীভূত হবে।
Ø যে নিজের কপালে গুলর-এর শিকড় ঘষে তিলক লাগাবে সে সবার প্রিয় পাত্র হবে।
Ø সহদেবী ছায়ায় শুকিয়ে এবার তার চূর্ন পানে দিয়ে খাওয়ালে যে খাবে সে বশীভূত হবে।
Ø মাদারে রসে ঘীগ্বারের রসে মিশিয়ে মুখে লেপলে অগ্নি স্তম্ভন করা যায়।
Ø ব্যাঙ্গের চর্বি, ঘীগ্বারের রস মিশিয়ে দেহে লেপলে অগ্নি স্তম্ভন হয়।
Ø সাদা ধুন্ধচীর রসে ব্রহ্মদন্ডীর শিকড় পিষে শরীরে লেপলে সবাই মোহিত হবে।
Ø গুলর ফুলের পলতে বানিয়ে রাতে সাদা মাখন দিয়ে তা জ্বালিয়ে কাজল তৈরী করে তিলক লাগালে জগৎ মোহিত হবে।
Ø সাদা দুর্বা ও বরকী হরতাল পিষে তিলক কাটলে জগৎ মোহিত হবে।
দুর্ভগ্য নাশনঃ
Ø রাতে সোবার আগে নিজের চৌকির নিচে (খাট/পালংক)মাথার দিকে একটি মাটির কলসি বা সরাতে কিছু পানি (জ্বল) রাখবে, ঢাকনা ছাড়াই। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে ঐ কলসির জ্বল পাসের কোন পুকুরে বা ডোবাতে পূর্বদিকে মুখ করে ফেলে আসবে। প্রতিদিন এই কাজটি করলে সংসারে অযথা ঝগড়া, বিবাদ, বেইজ্জতী, রোগ, লাঞ্চনা ইত্যাদি খারাপ কিছু থেকে রেহাই পাবে। সংসারে মঙ্গল হবে।
Ø সন্তান সুখ প্রাপ্তিঃ
Ø পুরনো গুড় মাটির নিচে পূঁতে দিলে সন্তান সুখ প্রাপ্তি হয়। যদি সন্তানের কষ্ট হয় তবে উপরোক্ত উপায় করলে অনুকুল ফল পাবেন। যদি সন্তানের উপর কোন কু প্রভাব পড়ে তবে সন্তানের সুখের জন্য ভিখারিদের গুড় বিলিয়ে দিতে হবে এবং বাচ্চার জন্মের পর মিষ্টির বদলে নিমকি বিলাতে হবে।
লজ্জা নিবারকঃ
Ø যদি আপনি অনুভব করেন যে সময়ের পূর্বে কোন স্ত্রী/পূরুষের চুল সাদা হয়ে যাচ্ছে, মানহানি, হওয়া কাজ হচ্ছে না, সুখের জায়গায় দুঃক্ষ এবং নিরাশা দেখা যাচ্ছে তবে পরিবারের প্রত্যেকের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে তা গুরুধাম/এতিমখানায় দান করলে সব অনিষ্ট নাশ হবে।
আধ কপালী ব্যাথা দুরীকরণঃ
Ø সূর্যোদয়ের পূর্বে কোনও স্ত্রী/পূরুষ যদি চৌরাস্তায় গিয়ে দক্ষিণ দিকে মুখ করে ছোট গুড়ের টুকরো নিয়ে দাঁতে কেটে ঐখানেই ফেলে দিতে হবে। এর ফলে ভয়ংকর আধকপালী ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জ্বলকে দুগ্ধ করণঃ
Ø আকন্দের আঠা, বটের আঠা ও জজ্ঞডুমরের আঠা একত্রে একটি মাটির পাত্রে লেপন করিবে। পরে সেই পাত্রে জ্বল ঢালিবা মাত্র তাহা দুধের মত হইয়া যাইবে।
দশ মিনিটে দই তৈরীঃ
Ø ছাগলের দুধে ¾ ফোটা শেওড়া গাছের কস দিয়া দশ মিনিট রৌদ্রে রাখিয়া দিলে 10 মিনিটেই দই হইয়া যাইবে।
বৃষ্টি বন্ধ করণঃ
Ø হুক্কা পরিস্কার করিবার জন্য যে লোহার গজ বা ছাতার শিক ব্যবহার করা হয় তাহা লইয়া বৃষ্টি আসিবার পূর্বে নিঃশ্বাস টানিয়া লইয়া একদমে উক্ত লোহার শিক মাটিতে পুতিয়া ফেলিবে। এতে করে বৃষ্টি আসিতে পারিবে না।
বৃষ্টি বন্ধ করণঃ
Ø যে স্ত্রী লোকের প্রথম সন্তান পূত্র সন্তান জন্মেছে সেই পুত্র সন্তান যদি ঝড়/বৃষ্টি আসিবার পূর্বেই ঝাড়ু নিয়ে ঝড়ের বিপরিত মুখি ঝাট দিতে থাকে তবে ঝড় আসতে পারবে না। মানে পূর্ব দিক থেকে ঝড় আসলে পশ্চিম দিক হতে পূর্বদিকে ঝাড় দিতে হবে এমন ভাবে ঝাড় দিলে সে সময় যেটুকু যায়গায় ঝাড়ু দেওয়া শেষ হবে সেই স্থানে ঝড় ঢুকিবে না বা বৃষ্টির পানী পরিবে না। তার বাইরে ঝড় চলিবে।
তুফান থেকে মুক্তিঃ
মন্ত্রঃ শিব শঙ্কর নৈরাকার কর্তা মোরে কর পার
উদ্ধার হ্রীং হ্রীং ঠঃ ঠঃ।
Ø নৌকা পথে যাইতে যদি হটাৎ করে তুফান উঠে তবে, কিছু নদির পানী হাতে লইয়া উপরক্ত মন্ত্র তিনবার জপ করিবে এবং নদীর মধ্যে ফেলিয়া দিবে তাহলে তুফান, থামিয়া যাইবে।
Ø নৌকা পথে যাইতে যদি হটাৎ করে তুফান উঠে তবে, যদি নৌকাতে কোন রজশিলা কুমারী থাকে (অবিবাহীত যাকে কোন পুরুষ কামভাবে র্স্পশ্য করে নাই) যার মাসিক ধর্ম চলছে এবং পরনে কাপর গোজা আছে তবে তার কাছ থেকে সেই কাপর চেয়ে নিয়ে জাহাজ বা নৌকার মাস্তুলে বেধে দিলে সংগে সংগে তুফান এবং নৌকার পাগলামী থেমে যায়।
তাৎক্ষনিক কেশ উদগমনঃ
Ø কোন মুন্ডিত মস্তক ব্যক্তি (নাইড়া মাথার লোক) আঙ্কুলী তৈল দ্বারা মাথায় সুন্দর করে মালিশ করে তবে তাৎক্ষনিক কেশ উদগমন হয়।
ক্ষুরবিনা কেশচ্ছেদনঃ
Ø মনসার আঠা ও কনক ধুতুরার বীজ চূর্ন একত্রে সুবর্নের সহিত ভাবনা দিয়া এক খানা বস্ত্রখন্ড দ্বারা বেষ্টন করিয়া সেই বস্ত্র মাথায় চাপা দিয়া ধরিয়া কিছুক্ষণ পরে বস্ত্র সরাইলে দেখিবে মাথার সমস্ত কেশ উঠিয়া গিয়াছে।।
অর্শ্ব রোগের প্রতিকারঃ
Ø অশ্বথ গাছের উপর যে পরগাছা নিমগাছ হয় তাহা আনিয়া পিষিয়া খাইলে অর্শ্ব রোগ ভালো হয়।
চোখের ফুল ও বেদনা হইলেঃ
Ø জংলী শুকুরের দাঁত স্তন্যদুগ্ধে ঘসিয়া দিনে 5/6 বার লাগাইলে যে কোন প্রকার চোঁখের বেদনা ও ফোলা কমিয়া যায়।
অঞ্জনী বা চোখের ব্রনঃ
Ø আম পাতার শির বাহির করিলে যে রস বাহির হয় তাহা দিনে ¾ বার চোখের উপর ব্রনে লাগাইলে ব্রন ভালো হয়।
অঞ্জনী বা চোখের ব্রনঃ
Ø রসুনের রস প্রত্যহ 3 বার তিন দিন লাগাইলে যে কোন প্রকার চোখের অঞ্জনী ভালো হয়।
অঞ্জনী বা চোখের ব্রনঃ
Ø ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলী বাম হাতের তালুতে শুকনা ভাবেই জোরে জোরে ঘসিলে যখন গরম অনুভব করিবে তখন আঙ্গুলটি চোখের অঞ্জণীতে শেক দিবে তাহলে দু দিনেই অঞ্জনী ভালো হইবে।
Ø দোমছা বা হড়কো অথাৎ যে সকল মেয়ে লোক স্বামীকে ভয় পায় স্বামীর কাছে শয়ন করতে চায় না তাদের জন্যঃ
Ø জুতার শুকতলা এক টুকরা, উচ্ছিষ্ট কলা পাতার আগা এক টুকরা, ধোপার পাটের হাতকুড়ো একটু, বাজার ঝাটান খেঙ্গরা এক টুকরা। এই সব দ্রব্য একটি মাদুলিতে ভড়ে স্ত্রীর গলায় ধারন করিলে তার এই রোগ বা সমস্য আর থাকে না।
অনিয়মীত ঋতু স্রাবঃ
Ø তিলের শিকড় রাতে ভিজাইয়া রাখিয়া সেই ভিজানো জল, সকাল ও বিকাল দৈনিক ২ বার পান করিলে ঋতু স্বাভাবিক হয়।
ফলে পোকা না লাগার উপায়ঃ
Ø গাছের ডাল ভাঙ্গিয়া গঙ্গায় বা পদ্মায় ফেলিয়া দিলে ফলে পোকা ধরে না।।
দুই শত্রুর মধ্যে ঝগড়া বাধানোর তদবীরঃ
Ø কাল কুকুর এবং কাল বিড়ালের দাঁত মিশ্রিত করে এক টুকরা কাপড় দ্বারা নয়টি পুটলি বেঁধে যে গৃহে লুকায়ে রাখবে, সে গৃহে ঐ পুটলি যতদিন থাকবে ততদিন সেই গৃহে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকবে কখনও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। এবং এই বিবাদ থেকে ভাই/বোন, স্বামী/স্ত্রীও রেহাই পাবে ন।
ছোট শিশুর বা পশুর মুখদোষ দুর করার উপায়ঃ
Ø কাকের ঠোঁট শুকায়ে তাবীজ বানিয়ে তা শিশুর গলায় পড়িয়ে দিলে যাবতিয় মুখদোষ হতে দুরে থাকবে।
Ø সূর্যোদয়ের আগে কোনও স্ত্রী-পুরুষ চৌরাস্তায় গিয়ে ছোট গুড়ের টুকরো দাঁতে কেটে সেখানেই ফেললে সে সব পীড়ামুক্ত হয়। গুড় দাঁতে কাটার সময় তার মুখ দক্ষিণ দিকে হওয়া চাই।
Ø রাতে শোবার সময় যে কেউ ৭ বার মুনিরাজ আস্তিকের নাম জপ ও নমস্কার করে তার সাপের কামরের ভয় থাকে না।
Ø যদি কারও মৃগী রোগ থাকে তবে গাধার সামনের ডান পায়ের নখ নিয়ে আংটিতে ভরে নিজের আঙ্গুলে ধারন করলে রোগমুক্তি হয়।..