তাবিজের কিতাব ফ্রীতে ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন : http://www.sulemanikitab.xyz/2021/10/blog-post.html?m=1
তাবিজ লেখার নিয়মাবলী
যখন তাবীজ লেখবার ইচ্ছা করবে তখন গােসল অথবা অজু করে নিবে।তারপর সুগন্ধি ব্যবহার করবে। কিছু আতর গােলাপ নিকটে রাখবে।মাঝখানে কথা বলবে না। নাপাক মহিলা যেন তার নিকট না আসে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাবীজের প্রথমে VA1 যা বিসমিল্লাহ সংখ্যা অবশ্যই লেখবে।
যদি ভালবাসা ও অপরকে বাধ্য করার তাবীজ লেখে তা হলে কোন মিষ্টি বস্তু মুখের ভেতর রাখবে। হারাম মহব্বতের জন্য কখনও তাবীজ লিখবে না। যখন হালাল মহব্বতের জন্য তাবীজ লেখবে তখন মাতলুবের বাড়ির দিকে মুখ ফিরিয়ে বসবে এবং মাতলুব সম্বন্ধে এমন ধারণা ও কল্পনা করবে যেন সামনে দণ্ডায়মান আছে।
যদি শত্রুতার নকশা লিখতে হয় তা হলে তিক্ত বস্তু মুখে রাখবে। আর যদি জবানবন্দীর জন্য তাবীজ লেখতে হয় তা হলে সামান্য মােম দাঁতের মধ্যে চেপে রাখবে এবং চন্দ্রমাসের শেষ ভাগে লেখবে।
আর যদি কারাে নিদ্রা বন্ধ করার বা তরবারী বন্দী করার জন্য লেখতে হয় তাহলে কালি দ্বারা লেখবে। আর কোন কোন বুজর্গ বলেছেন যার জন্য তাবীজ লেখবে সেই ব্যক্তির শরীরের বর্ণের দিকে দেখবে। যদি তার রং লাল হয় তা হলে লাল বর্ণের কালি দ্বারা লেখবে। যদি হলুদ বর্ণ হয় তা হলে জাফরান দ্বারা তাবীজ লেখবে। আর যদি সাদা বর্ণ হয় তা হলে কফুর অথবা চুনা দ্বারা লেখবে। আর যদি কালাে বর্ণের হয় তা হলে কালাে কালি দ্বারা লেখবে।
হেদায়া কিতাবের হাশিয়া ফতহুল কাদীর নামক কিতাবের মধ্যে লেখেছে যদি করাে সঙ্গে তাবীজ থাকে এবং ইহা ঠোলের মধ্যে আছে তা হলে ঐ তাবীজ নিয়ে পায়খানা প্রশ্রাব করার মধ্যে কোন দোষ নাই। তারপরও উহা খুলে যাওয়া ভাল। এতে বুঝা গেল যদি আংটির মধ্যে কোন দোয়া অথবা আয়াত লেখে থাকে এবং সে আংটি মােম অথবা কাপড় দিয়ে পেচানাে থাকে ঐ হুকুম হবে যা ঠোলের ভেতরে তাবীজের ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে।অধিকাংশ নির্ভরযােগ্য কিতাবের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে,যেই তাবীজের মধ্যে আল্লাহ তা'আলার নাম নেই সেই তাবীজ লেখা এবং আমল করা জায়েজ নেই। যদি কোন মন্ত্র হাদীছ দ্বারা ছাবেত আছে। কিন্তু এর অর্থ বুঝে আসে না তা হলে ঐ রূপ মন্ত্র পাঠ করলে কোন ক্ষতি নেই। অন্যথায় ঈমান নষ্ট
হওয়ার আশংকা আছে।যথা আমলে কুফুরী মন্ত্র পাঠ করা মুসলমানের জন্য ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ হয়।আল্লাহ তা'আলা মুসলমানগণকে ভাল কাজের তৌফিক দান করুন তারা যেন যাদুটোনা শিখে ঈমান নষ্ট না করে। কারণ তাবীজাতের জন্য পবিত্র কোরআনের আয়াত, এবং মাশায়েখের এরশাদাত যথেষ্ট। যাদু টোনা ও খারাপ আমলের কোন প্রয়ােজন নাই।নােট ও আমলে ছিলী বলে যাদু টোনা ও নানাহ খবীছ মন্ত্র ইত্যাদির আমলকে
প্রশ্ন :
আমল পড়ে অথবা তাবীজ লেখে অধিকাংশ লােকেই কিছু পয়সা গ্রহণ করে থাকে তা জায়েজ কিনা?
উত্তরঃ
যার নিয়তের মধ্যে কোন খারাবী বা ধােকা নেই সে লওয়া জায়েজ।যদি গ্রহিতার মিয়তের মধ্যে ধোকা থাকে তা হলে জায়েজ নয়। যথা সে ব্যক্তি তাবীজের নিয়মাবলী সম্বন্ধে অবগত নয়। যদি কোন কিতাবের মধ্যে দেখে না বুঝে পয়সার লােভে তাবীজ লেখে দেয় এবং তাগার মধ্যে গিরা লাগিয়ে দেয়। কিছু না পড়ে শুধু সাে সাে করে গিরা লাগায়। তারপর, এর হালক্স বানিয়ে দেয় শুধু আড়াই পয়সা হাসিল করার জন্য।যখন আমল করবার জন্য প্রস্তুত হবে তখন অজু করে তছবীহ পাঠ করতে থাকে এবং একটি দানার স্থানে ছয়টি দানা টানে, খুব হেলে ঢলে পড়তে থাকে।আর তার নিয়ত এই যে, মানুষ যেন তাকে একজন আমলদার মনে করে ! এ ধরনের লােক পয়সা লওয়া জায়েজ নয়। কেননা ইহা ধোকা। এভাবে লওয়া হারাম। আল্লাহ তাআলা এ প্রকার পাল ও হালকা ওয়ালাগণকে হেদায়াত করুন।তারা যেন হারাম খাদ্য না খায়। যার খাদ্য হারাম হবে তার দোয়া ও তাবীজ দ্বারা কি উপকার হবে।
তাবীজের প্রকারভেদ
জেনে রাখ যে, তাবীজ চার প্রকার।
১. আতশী
২. বাদী
৩. খাকী
৪. আবী।
আতশী তাবীজ
ঐ তাবীজকে বলা হয় যা কাগজ অথবা নতুন পাতিলে বা হরিণের জিল্লির মধ্যে লেখে আগুনে ফেলা হয় এবং ইহা করা হয় ভালবাসা সৃষ্টির জন্য অথবা অনুপস্থিত ব্যক্তিকে হাজির করার জন্য। আতশী তাবীজ লেখার সময় পূর্ব দিকে মুখ করে বসবে এবং তার নিকট আগুন রাখবে।
বাদী
ঐ তাবীজকে বলা হয় যা লেখে গাছে বেধে দেয়া হয় যেন বায়ু একে হেলাতে থাকে। এ প্রকার তাবীজ লেখার সময় কোন উচু স্থানে বসে লেখবে যেখানে খুব বায়ু থাকে এবং পশ্চিমদিকে মুখ করে বসবে। এ তাবীজ লেখা হয় ভালবাসা সৃষ্টি ও জবানবন্দীর জন্য।
খাকী
ঐ তাবীজকে বলে যা মাটিতে অথবা পুরাতন কবরে দাফন করা হয়। এ তাবীজ লেখার সময় উত্তর দিকে মুখ করে বসবে। ইহা অপরকে বাধ্য করা এবং কয়দীর মুক্তির জন্য লেখবে।
আবী
ঐ তাবীজকে বলা হয় যা লেখে পানির মধ্যে ফেলতে হয়। এ প্রকার তাবীজ নদীর তীরে বসে লেখবে এবং দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসবে। এ প্রকার তাবীজ কয়দীর মুক্তির জন্য এবং রুজী বৃদ্ধির জন্য ও জবানবন্দী ইত্যাদির জন্য
লিখা হয়।
সাত তারকা
ঐ সাত তারকাকে ছাবআ, সাইয়ারা বা ভ্রমণকারী সাত তারকা বলা হয়।যারা নিজেদের পরিভ্রমণের দ্বারা আকাশ অতিক্রম করে থাকে। কিন্তু আসমানেরসাথে তারা ঘুরে না।
সে সাতটি তারকার নাম ঃ
১। সামস
২। মুস্তরী
৩। মিররীখ
৪। আতারাদ
৫। কমর
৬। জহুল
৭। জুহরা
আল্লাহপাক এ তারকার মধ্যে অতি আশ্চর্য ধরণের ফল বেখেছেন।এ পৃথিবীর অধিবাসীকে উর্ধ্ব জগতের অনুসারী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন।কোন কোন তারকা সৌভাগ্যবান। আবার কোন কোনটি হচ্ছে ভাগ্যহীন যেমন জহুল এবং মিররীখ এ দুটি হচ্ছে ভাগ্যহীন। তাই ভালবাসার জন্য তাতে বা আমল করতে হয়। দুশমনের জন্য তদবির বা আমল করতে হলে মিররীখ এবং জহুল এই দু' সেতাহার আমল করতে হয় এবং জবানবন্দীর জন্য তাবিজ বা আমল করতে হলে নম্বর এক বা দুই ধরণের দু' সেতারার আমল করতে হয় এবং
জ্বীন ভূতের তদবীর করতে হলে জহুল এবং মিশরী * এ দুই সেতেরার আমলে তদবীর বা আমল করতে হয়। এ সব বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে যদি সঠিক সময়ে সেতারা অমল ধরে এবং লােবান জ্বালিয়ে তাবিজ বা আমল করলে ঐ তাবিজ ব্যবহার করলে তার ফলাফল নিশ্চিত হয়ে যায়।অনেক তাবিজে কাজ হয় না তার একমাত্র কারণ হল, ঐ তাৰিজ যে সময়ে লেখার নিয়ম ছিল, সে সময় লেখা হয়নি। তাই কোন সময় কোন সেতারার আমল শুরু হয়ে থাকে সে
বিষয়ে তালিকা তৈরী করে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল। যাতে সময় নির্ণয় করতে কোন চিন্তা করতে না হয়। প্রতিটি সেতারা প্রতিটি
বুরুজে ৫৬ মিনিট অবস্থান করে থাকে। ৫৬ মিনিট অবস্থান করে পুনঃ চলতে থাকে। আর এভাবে একের পর এক অবস্থান নিতে থাকে। আশাকরি স্ব-গভীর ব্যক্তিগণ, এ কথাগুলাে স্মরণ রেখে সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে আমল ও তদবীর
করবেন। তালিকার নিচে সময়ের হিসাব দেয়া আছে। কোন সেতারা কোন সময়
থেকে শুরু হয় তা দেখে নিবেন।
কোন সেতারার আমলে কি লেবান জ্বালাতে হয়
তা নিম্নে ক্রমিক নাম্বার অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করলাম।
১। ১ সেতারার আমলে, উদ, রলি, এবং গুগল, যে কোন একটি লােবান।
জ্বালিয়ে আমল বা তদবীর করবেন।
মগ্ন ২। ডসেতারার আমলে, আতর, অম্বির, মেশক, জাফরান, জরদ।
যে কোন একটি লেবান জ্বলিয়ে তাবিজ বা আমল করবেন।
আজকের পোস্টটি এই পর্যন্তই।