রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১

আয়ুর্বেদ কৃমি রোগ নাশকঃ

কৃমি রোগ নাশকঃ
৫০ গ্রাম শামুকের চুন (পান খেতে যে চুন লাগে) নিয়ে তা রাতে কোন কাচের পাত্রে সমপরিমাণ পানি দিয়ে খুব ভালো ভাবে নারতে হবে। এবং সেই ভাবেই কোন সুরক্ষিত স্থানে রেখে দিতে হবে। এবার সকালে সেই পাত্র বের করে খুব সাবধানে উপরের পরিস্কার পানি টুকু অন্য আর একটি পাত্রে নিতে হবে, এবং এর সাথে সামান্য লবন মিশিয়ে চাঁ চামুচের দুই চামুচ কৃমি আক্রান্ত বাচ্চাকে খাওয়ালে অবশ্যই সমস্ত কৃমি মরে যায়, এতে বাচ্চার কোন রকম সমস্যা হয় না।। ( এক সপ্তাহ পরে আর এক ডোজ দেওয়া যেতে পারে)


পাথরি রোগ নাশকঃ
শাল গাছের বীজ ৩/৪ টি নিয়ে পাথরের উপর চন্দনের মতো ঘষে গাঢ় ক্বাথ বের করে প্রতিদিন পাথরির রোগীকে খাওয়ালে পাথর গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে প্রসাবের সাথে বের হয়ে যায়।। (অন্তত ২১ দিন খাওয়াতে হবে)।।


স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি, ক্ষুধা বৃদ্ধি ও পেট পরিষ্কার থাকার প্রয়োগঃ
শিমুল গাছের শেকড়ের ( ছোট বা কচি শিমুল হলে ভালো হয়) তাজা রস ২০ গ্রাম, ৫ গ্রাম মিশ্রীর সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে স্মৃতি শক্তি বাড়ে, পেট পরিষ্কার হয়, ক্ষুধা বৃদ্ধি হয়।।


স্তনে ব্যথা হলেঃ
কারো স্তনে  ব্যথা হলে কাচা
হলুদ ও ধুতুরা পাতা
বেটে সামান্য গরম করে স্তনে
লাগালে ব্যথা নিরাময় হয়।।
বীর্য স্তম্ভন
Ø শ্বেত কুঁচের মূল
তুলে স্ত্রী সহবাস কালীন মুখ
মধ্যে রেখে সহবাস করলে
সহসা বীর্যপাত হয় না।।
Ø মোরগ জবাইকরার পর
যদি সেই মোরগের বিচি
(অন্ডকোষ) একটি কাঁচা গিলে
খেয়ে ফেলা যায় তবে
বীর্য রোধ হয়।
Ø আবার মোরগের বিচি
(অন্ডকোষ) নিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে সেটি
ফুটো করে কালো ধাগায়
তাবিজের মত বেধে যদি
স্ত্রী সহবাসের সময় কোমোরে পড়া
যায় তবেও অনেকক্ষন পর্যুন্ত বীর্য
বাহীর হয় না।
 
নিদ্রা অধিক হইলে তার প্রতিকারঃ
সিরকা এক শিশিতে ভরিয়া
তাহাকে দিনে বিশ বা
পঁচিশ বার নাকে শুকিতে
হইবে। ইহাতে সেই
ব্যক্তির ঘুম আর আসিবে
না।।
কফ পিত্ত বাতিকের ঔষধঃ
চিরতা
দুই রতি, বিছনাগ আধা
তোলা, পিপুল অর্দ্ধ তোলা,
গোল মরিচ অর্দ্ধ তোলা,
জ্যৈষ্ঠ মধু দুই আনা=
সমস্ত কিছু সামান্য পরিমান আদার
রসে উত্তম রুপে পিষিয়া
সরিষা পরিমাণ বড়ি তৈরী করিবে। বলবান লোকের জন্য
একটি বড়ি, শিশুর জন্য
ছয় ভাগের এক ভাগ,
এই ভাবে মধু সহযোগে
দিনে দুই তিন বার
সেবনে কফ ও পিত্ত
সারিয়া যাইবে।।
বুকে সর্দি বসিয়া কাশি হইলেঃ
গোল
মরিচ, লবঙ্গ, বচ, শুঠ,
জ্যৈষ্ঠ মধু, বাসক শিকড়ের
ছাল, ব্যাকুরের শিকড়ের ছাল,ম এক
এক তোলা নিয়ে এর
সংগে আট তোলা মিছরির
সংগে মিশিয়ে অর্দ্ধসের জলে সিদ্ধ করিয়া
দেড় পোয়া থাকিতে নামাইবে।এবং ভালো ছাকনি দিয়ে
সুন্দর ভাবে এটাকে ছাকিতে হইবে। এক চামুচ পরিমান প্রতি
চার ঘন্টা অন্তর সেবন
করিতে হইবে।বুকে
বেদনা হইলে বাসক পাতার
সেক দিবে এতে বেদনা
ভালো হইবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন